দ্য পিপল ডেস্কঃ যত দিন এগোচ্ছে, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্যান্সার সম্পর্কে মানুষের সচেতনতাও। কোনো ব্যক্তি ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে, যদি প্রথম ধাপ থেকেই চিকিৎসা করা হয়, তাহলে আক্রান্ত ব্যক্তির ক্যান্সার মুক্তি সম্ভব। পরে বাড়বাড়ন্ত অবস্থায় ধরা পড়লেও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে রোগীর কষ্ট লাঘব করা সম্ভব হয়।
ক্যান্সারের কারণঃ
ক্যান্সার সম্পর্কে অনেকেরই বেশ কিছু ভুল ধারণা আছে । এক্ষেত্রে সকলেরই জানা প্রয়োজন ক্যান্সারের নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই । ক্যান্সার কোনো বংশগত রোগ নয়। বরং বলা যেতে পারে, বর্তমানে আধুনিক জীবনযাত্রার মান ক্যান্সার বৃদ্ধিতে ক্রমশ ইন্ধন জোগাচ্ছে । অতিরিক্ত উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত খাবার, যেমন ফাস্টফুড, খাদ্যতালিকায় ফাইবার জাতীয় খাবারের পরিমাণ কম, ক্যান্সারের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।
কোন কোন ক্যান্সারের প্রভাব বেশী ?
পুরুষদের ক্ষেত্রে মুখগহ্বর ও ফুসফুসের ক্যান্সার বেশী হয়ে থাকে। মহিলাদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সার, জরায়ু ক্যান্সার এর প্রবণতা খুব বেশী দেখা যায়। উভয়ের ক্ষেত্রেই কমন হল পিত্তস্থলীর ক্যান্সার।
ক্যান্সারের বিভিন্ন চিকিৎসাঃ
- রেডিওথেরাপি– বিকিরণের মাধ্যমে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে ক্যান্সার বা টিউমার পুড়িয়ে দেওয়া হয় ।
- কেমোথেরাপি– ওষুধের মাধ্যমে শরীরে কোষগুলিকে মেরে ফেলা হয়। এক্ষেত্রে বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। যেমন, মাথার চুল পড়ে যাওয়া। তবে অনেকেই মনে করেন কেমোথেরাপি মানেই ক্যান্সারের লাস্ট স্টেজ। এই ধারণা ভুল বলেছেন চিকিৎসকেরা। কেমোথেরাপি তখনই দেওয়া হয়, যখন ডাক্তাররা মনে করেন যে, ক্যান্সারের সেল শরীরের একাধিক জায়গায় আছে।
ক্যান্সারকে মারণরোগ হিসাবেই গণ্য করা হয়। পাশাপাশি এর চিকিৎসা খরচ সাপেক্ষ। ভারতে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল আছে, যেগুলি ক্যান্সার চিকিৎসায় সেরা। আজকের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হল সেগুলি।
১. আদ্যর ক্যান্সার হাসপাতাল, চেন্নাইঃ
১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালটি। আধুনিক যন্ত্রপাতি সহ সমস্ত পরিষেবা দেওয়া হয় হাসপাতালটিতে। ক্যান্সার চিকিৎসায় সাফল্যের হারও বেশী হাসাপাতালটির। ক্যান্সারের অন্যতম কারণ ধূমপান। কীভাবে এর থেকে বিরত থাকবেন সেই চিকিৎসাও এখানে করা হয়।
ওয়েবাসাইটঃ http://cancerinstitutewia.in//CIWIA
২. রিজিওনাল ক্যান্সার সেন্টার ত্রিবান্দ্রমঃ
১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালটিতে ক্যান্সারের আধুনিক চিকিৎসা করা হয়। এই হাসাপাতালের অন্যতম হল চিকিৎসা পদ্ধতি হল টেলিমেডিসিন পদ্ধতি।
ওয়েবসাইটঃ http://www.rcctvm.org
৩. অ্যাপোলো হাসপাতালঃ
সারা দেশজুড়ে এর বিভিন্ন শাখা ছড়িয়ে রয়েছে। অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের মেডিকেল টিম রয়েছে হাসাপাতালে। রয়েছে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থাও।
ওয়েবসাইটঃ http://www.apollohospitals.com
৪. এমআইওটি হাসপাতাল, চেন্নাইঃ
অন্যতম সেরা হাসপাতালগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। কেমোথেরাপি, রেডিওলজি ছাড়াও এই হাসপাতালটি স্তন ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য বিখ্যাত।
ওয়েবসাইটঃ http://www.miothospitals.com/index.html
৫. টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল, মুম্বাইঃ
ভারতের সেরা হাসপাতালগুলির মধ্যে টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল অন্যতম । আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয় এখানে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদেরও চিকিৎসা করা হয় এখানে।
ওয়েবসাইটঃ http://tmc.gov.in
৬. কিদওয়াই ইন্সটিটিউট অফ অনকোলজি, ব্যাঙ্গালোরঃ
১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় হাসপাতালটি। ক্যানসার ছাড়াও অস্থিমজ্জা স্থাপন করা হয় এখানে।
ওয়েবসাইটঃ http://www.kidwai.kar.nic.in
৭. ম্যাক্স ইন্সটিটিউট অফ অনকোলজি, দিল্লিঃ
সারা দেশ থেকে রোগীরা ভিড় জমান এই হাসাপাতালটিতে। সমস্ত রকম আধুনিক পরিষেবা পাওয়া যায়।
ওয়েবসাইটঃ http://www.maxhealthcare.in/index.php/ourspecialities/oncology-cancer-care#oncology-cancer-care
৮.অমলা ক্যান্সার হসপিটাল, ত্রিশুর, কেরালাঃ
শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে এখানে চিকিৎসা করা হয়।
ওয়েবসাইটঃ http://www.amalaims.org
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালগুলিতেও ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হয়। অন্যতম হল কলকাতার ঠাকুরপুকুরের সরোজ গুপ্ত ক্যান্সার সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট।