দ্য পিপল ডেস্কঃ তেলেঙ্গানায় তরুণী পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনে অভিযুক্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে এনকাউন্টারে। অন্তত এমনই দাবি পুলিশের।
এর পরেই দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। দেশের একটা বড় অংশের মত, যা হয়েছে ঠিকই হয়েছে।
অন্য অংশটির মতে, বিচার ছাড়াই কীভাবে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়!
এটা তো ঠিকই, অপরাধীদেরও কিছু বলার থাকতে পারে।
তাদের কথা শোনার জন্যও তো আইন রয়েছে, রয়েছে আদালতও।তার পরেও কী আইন হাতে তুলে নেওয়া যায়!
আরও পড়ুনঃ তেলেঙ্গানা এনকাউন্টার, চাপা পড়ল নারী নিরাপত্তার দাবি
এক সাংসদ তো বলেই ফেললেন, অভিযুক্তদের জনতার হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত!
শুধু ওই সাংসদই নন, ধর্ষকদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন দেশবাসীর সিংহভাগ অংশই।
আইন হাতে তুলে নেওয়া যায় কিন না যায়, সে অন্য প্রশ্ন। তবে ধর্ষকদের জন্য কঠোর সাজার ব্যবস্থা রয়েছে এই গ্রহেরই বেশ কয়েকটি দেশে।
ধর্ষণের শাস্তি বিভিন্ন দেশেঃ
ধর্ষণে কোনও অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়া হয় চিনে। অপরাধী যাতে ভবিষ্যতে ফের এই একই কাজ করতে না পারে সেই জন্যই এই শাস্তি।
ধর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে অপরাধী যদি নির্যাতিতার সঙ্গে নৃশংস আচরণ করেন, তাহলে তাঁকে দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ড।
মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় সৌদি আরবেও। সেখানে অপরাধীকে প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেওয়া হয়। তার পর প্রকাশ্যে নিয়ে গিয়ে করা হয় শিরশ্ছেদ।
আরও পড়ুনঃ একা হাঁটার পরিসর খুঁজছেন মহিলারা
আফগানিস্তানে আবার অপরাধীর মাথায় গুলি করে মারার ব্যবস্থা রয়েছে। আদালতের নির্দেশে সেখানে ধর্ষণে অভিযুক্তকে হয় ফাঁসি দেওয়া হয়, নয়তো মাথায় গুলি করে মারা হয়।
ধর্ষণে অভিযুক্তকে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে মারা হয় উত্তর কোরিয়ায়।
মিশরেও ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ধর্ষককে সেখানেও লটকানো হয় ফাঁসিতে। ধর্ষককে ফাঁসিতে লটকানো হয় ইরানেও। তবে প্রকাশ্যে পাথর ছুঁড়ে মারার মতো শাস্তিও দেওয়া হয় সেদেশে।
এই দেশগুলিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও, পৃথিবীর অনেক দেশেই এখন আর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় না। যেমন ফ্রান্স।
সেদেশে ধর্ষণের শাস্তি পনের বছরের কারাদণ্ড। নৃশংসতার মাত্রাভেদে তা বেড়ে হতে পারে তিরিশ বছর পর্যন্ত।
আরও পড়ুনঃ ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই মৃত উন্নাও নির্যাতিতা, এনকাউন্টার কি শেষ পন্থা?
ধর্ষকদের ১৬ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় ইসরায়েলেও।
কারাদণ্ড দেওয়া হয় আমেরিকা এবং রাশিয়ার মতো মহাশক্তিধর দেশগুলিতেও।
ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে নরওয়ের মতো দেশেও দেওয়া হয় কারাদণ্ড। তিন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের জেল হতে পারে সেদেশে।