দ্য পিপল ডেস্কঃ নয়া ফল টেটের আবারও। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ফলপ্রকাশ। পাশ করেছেন ১৩০ জন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তাঁদের উত্তীর্ণ ঘোষণা করেছেন। ৭ই নভেম্বর নথিপত্র যাচাইয়ের জন্য ডাকা হয়েছে সফল প্রার্থীদের।
তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বিভিন্ন জেলা ভিত্তিক শূন্যপদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে জেনারেল, ওবিসি এবং এসসি ক্যাটেগরিতে কোথাও কোনও শূন্যপদ নেই।
নয়া ফল টেটের -উত্তীর্ণ হলেন কারা?
এসটিদের জন্য কিছু পদ রয়েছে। অথচ নতুন করে ১৩০ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
তাঁদের সিংহভাগই জেনারেল এবং ওবিসি ক্যাটেগরির।
চাকরি না পেলে ফের আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন উত্তীর্ণ প্রার্থীরা।
এই প্রার্থীদের আইনজীবী আলি আহসান আলমগির বলেন, উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন প্রার্থীরা।
উত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য পর্ষদ কী করে দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রয়োজনে আবার আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে।
২০১৪ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি হয় টেট পরীক্ষার। পরীক্ষা হয় তার পরের বছর। প্রশ্নপত্রে ৬টি প্রশ্নের ভুল উত্তর দেওয়া ছিল। আদালতের দ্বারস্থ হন কয়েকজন প্রার্থী।
২০১৮ সালের ৩রা অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন যেসব প্রার্থী ভুল প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তাঁদের প্রত্যেককে নম্বর দিতে হবে।
যোগ্য বিবেচিত হলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে তিনমাসের মধ্যে।
এর পর মামলা গড়ায় ডিভিশন বেঞ্চে, সেখান থেকে সুপ্রিমকোর্টে।
মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য ফের হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ফেরত আসে।
পরে একাধিক পার্থী সিঙ্গল বেঞ্চে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানান, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তাঁর নির্দেশ মানছেন না।
এর পর ক্ষুব্ধ বিচারপতি পর্ষদের সচিবের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন।
১৯ সেপ্টেম্বর স্বশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিবকে।
আদালতে হাজির হয়ে সচিব জানান উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
সেই তালিকাই প্রকাশিত হয়েছে। তার পরেও অবশ্য মামলার পুরোপুরি নিষ্পত্তি হয়নি।
কারণ প্রার্থীদের দাবি ছিল, হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল লেখার চেষ্টা করলেই নম্বর দিতে হবে। পর্ষদ তা করেনি। সেই জন্যই অনেকে অনুত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিচারপতি এ ব্যাপারেও হলফনামা দিয়ে জানাতে বলেছেন। ১৫ই নভেম্বর সেই সংক্রান্ত শুনানিও রয়েছে।