দ্য পিপল ডেস্কঃ ফের ফেসবুক পোস্ট বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের। কথা রেখেছেন তিনি।
১৬ জানুয়ারি তিনি তাঁর অবস্থান জানাবেন বলে ফেসবুক ফ্যান পেজে পোস্ট করেছিলেন ১৪ জানুয়ারি।
তিনি কাজ করতে চান অথচ করতে পারছেন না জানিয়েছিলেন সেই পোস্টে।
দলের প্রতি, নেতৃত্বের প্রতি যে অভিমান জমেছে তা শতাব্দীর সেদিনের পোস্ট থেকে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মনে, ক্ষোভ উগরে দেওয়ার থেকেও সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছিলেন শতাব্দী। সেজন্যই ফেসবুক পোস্ট।
তার পর থেকেই রাজ্যের রাজনীতিতে আরও এক ঝটকা গরম হাওয়া বয়ে গিয়েছিল।
গুঞ্জন উঠতে শুরু করেছিল, এবার কি তবে তৃণমূল দল থেকে শতাব্দী রায়ের উইকেট পড়ার পালা?
সেই মতো ফের ফেসবুকে পোস্ট করে নিজের কথা জানালেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়।
তৃণমূলে ছিলাম তৃণমূলেই আছি, সংবাদমাধ্যমের সামনে ঘোষণা করে মাত্র একদিনেই নিজের অবস্থান বদলে ফেলেছেন শতাব্দী রায়।
ফের কি লিখলেন তিনি ফেসবুক পোস্টে? পড়ুন-
”বীরভূমের নাগরিকদের প্রতি-
আজ একটি পোস্ট করব বলেছিলাম। এই লেখার মাধ্যমে আমার বক্তব্য জানাচ্ছি।
আমাকে কয়েকজন প্রশ্ন করছিলেন কেন এলাকার বহু কর্মসূচিতে আমাকে দেখা যাচ্ছে না। অথচ আমি তো চাই এলাকার মানুষের পাশে থাকতে। কিছু সমস্যা হচ্ছে। কিছু যন্ত্রণা অনুভব করছিলাম। চেষ্টা করছি সব বাধা টপকে এলাকায় সবসময় থাকার।
বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে জানিয়েছিলাম আপনাদের।
এই সূত্রেই কিছু বহুমুখী ঘটনা ঘটছিল।
শেষ পর্যন্ত তৃণমূল পরিবারের প্রিয় নেতা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার সবিস্তারে আলোচনা হয়েছে। আমি সমস্যার জায়গাগুলি জানিয়েছি। তিনিও শুনেছেন এবং আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনা ইতিবাচক। সমস্যার সমাধান হবে বলে আমি আশাবাদী।
সামনে নির্বাচন। যাঁরা তৃণমূলের কর্মী বা নেতা, আমার মতই তাঁদের কিছু ক্ষোভ বা বক্তব্য থাকতেই পারে। আমরা সেগুলি দলের মধ্যেই মেটাবো। ভোটে জয়ের পর পর্যালোচনা করব। এখন সবাই হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই করার সময়। আসুন সবাই মমতাদির নেতৃত্বে তৃতীয় তৃণমূল সরকার গঠনের লক্ষ্যে বাংলার স্বার্থে কাজ করি।
আমি যখন তৃণমূলে এসেছিলাম তখন সিঙ্গুর আন্দোলন চলছে। দল ক্ষমতায় নেই। কঠিন সন্ধিক্ষণ। শুধু দলকে ভালোবেসে, মমতাদিকে ভালোবেসে আমি এসেছিলাম। আজ আবার যখন সবাই বঙ্গরাজনীতির সন্ধিক্ষণ বলছেন, তখন আমার দলের মঞ্চ থেকেই লড়াই করার কর্তব্য থেকে পিছিয়ে যাব না।
আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ দিচ্ছি। যেভাবে তিনি সমস্যা শুনেছেন, আলোচনা করেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন, তাতে আমি নিশ্চিত তরুণ নেতাটি এখন যথেষ্ট দায়িত্বশীল ও পরিণত। নতুন প্রজন্মের এমন নেতার নেতৃত্ব দলকে শক্তিশালী করবে।
তৃণমূল কংগ্রেস আবার জিততে চলেছে।
আমি দলের সৈনিক হিসেবে আমার কর্তব্য পালন করে যাব।
সেই সঙ্গেই আরও বেশি করে নিবিড়ভাবে থাকব আমার বীরভূমের মানুষের পাশে।
ভালো থাকবেন। পাশে থাকবেন।
সর্বস্তরের তৃণমূল পরিবারের সদস্যদের আবার বলছি, যদি কারুর কোনো ক্ষোভ থাকে, এতদিন যখন সেসব নিয়ে পথ চলেছি, এখন ভোটের মুখে প্রতিপক্ষের সুবিধে করে না দিয়ে, আসুন, বাংলার স্বার্থে আমরা গোটা তৃণমূল পরিবার এক হয়ে লড়াই করি।
© শতাব্দী রায়”
https://www.facebook.com/Satabdi5Royofficial/posts/5185229918218979