দ্য পিপল ডেস্কঃ রবিবার গোটা ত্রিপুরা জুড়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্র লাল সিংহ-এর ১৯তম মৃত্যু বার্ষিকী।
একসময় ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধের সংগ্রামী ছিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্র লাল সিংহ।
ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন তিনি। যার ফলস্বরুপ হাজতবাসও করতে হয়েছিল তাঁকে। তবে আপোষ করেন নি এতটুকুও
তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় স্কুল থেকেই। সেই সময় ‘ভাতৃ সংঘ’ নামক এক যুব সংগঠনের সদস্য ছিলেন তিনি।
এরপর ১৯২০ সালে বাংলার যুগান্তর পার্টিতে যোগদান করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ “এনআরসি মানব না”- সুবল ভৌমিক
ব্রিটিশ শাসনাধীনে পূর্ব ভারতের অন্যতম স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্র লাল সিংহ ।
এরপর কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন তিনি। ১৯৫৩ সালে ত্রিপুরার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। মাঝে কংগ্রেসের সঙ্গে মতের অমিল হওয়ায় ছেড়ে দিয়েছিলেন।
ফের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি প্রধানমন্ত্রী চেয়ারে বসার পরই আবারও কংগ্রেস দলে যোগ করে ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন তিনি।
পাশাপাশি, বাংলাদেশ এর অন্যতম নায়ক মুজিবুর রহমানের খুব কাছের বন্ধু ছিলেন তিনি।
মুজিবুর রহমান শচীন্দ্র লাল সিংহকে দাদা বলে সম্বোধন করতেন।
ত্রিপুরা কংগ্রেসের আগামী মুখ কি অরিন্দম ?
দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল তাঁর। বর্তমান ত্রিপুরা তাঁরই ভাবনারই ফসল, তা বলাই বাহুল্য। তাঁর পুত্র বর্তমান ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শ্রী আশীষ লাল সিংহ
ত্রিপুরাকে আধুনিক রাজ্য তৈরি করার পরিকল্পনাকে ভবিষ্যতে পূর্ণ করার চেষ্টা করবেন বলে জানান শচীন্দ্র লাল সিংহের পুত্র আশীষ।